একটা সময় অধীর রঞ্জন চৌধুরীর হাত ধরেই রাজনীতির বড় মঞ্চে আত্মপ্রকাশ ঘটে মধুর, এরপর ২০১৬ সালে শুভেন্দু অধিকারী মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক থাকাকালীন কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করে ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখান। ফলস্বরূপ মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি নির্বাচিত হন। এরপর থেকেই মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের উত্থান শুরু হয়। তবে গত চার পাঁচ বছরে রাজনৈতিক রঙ অনেকটাই বদলেছে, ঘাসফুল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন মোশারফ হোসেনের তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক গুরু শুভেন্দু অধিকারী। সেই সময় থেকেই জেলায় শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত মোশারফ হোসেন মধুর সঙ্গে দলের জেলা নেতাদের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে। এই নিয়ে চলছিল রাজনৈতিক জল্পনা মোশারফ হোসেন তবে কি বিজেপিতে পা বাড়াবেন? নাকি পুরনো দল কংগ্রেসে ।শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদানের পর সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলা মুর্শিদাবাদে বিজেপিতে যোগদানের মতো বড় ঝুঁকি নেবেন না বলে অনেকেই মনে করেছিলেন রাজনৈতিক মহলে। তবে পুরনো দল কংগ্রেসের ফিরতে পারেন এমনটাই অনেকে আশা করছিলেন। এই আশঙ্কা নিয়েই জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আবু তাহের খান মধুর কর্মকাণ্ড নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং গত বুধবার মূল কংগ্রেস থেকে বহিষ্কার করা হয় মোশারফ হোসেনকে। সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে পুরনো দল কংগ্রেস ফিরলেন মোশারফ হোসেন।
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে মধুর আগমনে মুর্শিদাবাদ জেলায় কংগ্রেসের ভাঙ্গা ঘর গোছানো শুরু হলো বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। মোশারফ হোসেনের মতো একজন নেতাকে পেয়ে মুর্শিদাবাদের কংগ্রেস আরো শক্তিশালী হবে বলে আশা জেলা কংগ্রেস নেতাদের।
No comments:
Post a Comment