ঘটনা দেখে এলাকার মানুষ পুলিশে খবর দেয়, খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায়ভরতপুর থানার পুলিশ। কাজল দত্তের দেহ রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার ধারে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ দ্রুত উদ্ধার করে ভরতপুর ব্লক প্রাথমিক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়, সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এর পর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কান্দি মহকুমা হসপাতাকে পাঠায় পুলিশ। এইঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে, কান্দি SDPO সাগর রানার নেতৃত্বে বিরাট পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে এলাকায়।
এলাকায় শান্ত এবং ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিলেন কাজল বাবু। ভরতপুর হাই স্কুলের কাছেই একটি রাসায়নিক সারের দোকান ছিল কাজলের। তবে ঠিক কি কারনে খুন সে বিষয়ে ধোঁয়াশায় রয়েছে মৃতের পরিবার। মৃতের ভাই সজল দত্ত বলেন, " দাদা প্রতিদিন সারে চারটে নাগাদ হাঁটতে বেরোয়। একজন এসে খবর দিল মার্ডার হয়ে পড়ে আছে, এরপর গিয়ে দেখি মার্ডার হয়ে পড়ে আছে তারপর বাড়িতে খবর দিলাম। শ্ত্রু বলে কেউ নেয়, কাউকে সন্দেহও করতে পারছিনা। কি করে হল বুঝেতে পারছিনা।" তবে মৃত ব্যাক্তির সঙ্গে রাজনীতির কোন সম্পর্ক নেয় বলে জানা যায়।
অবিলম্বে খুনিদের গ্রেফতারের দাবি জানান ভরতপুর BJP-এর মন্ডল সভাপতি ইমনকল্যাণ মুখার্জি, না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন তিনি। ইমনকল্যাণ বাবু বলেন, "আমরা সকালবেলায় দুঃখজনক ঘটনাটি শুনলাম। আমাদের ভরতপুর টাউন ক্লাবের সদস্যকাজল দা, এমন একজন ব্যক্তি খুন হয়েছেন যার কোন শত্রু আছে বলে আমার মনে হয় না। দ্রুত আসামী যেন ধরা পড়ে, না হলে গ্রামবাসী বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে, তিনি একজন অরাজনৈতিক ব্যক্তি এবং এলাকায় খুব ভালো মানুষ বলে পরিচিত। এমন মানুষ খুন হলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।"
ইতিমধ্যেই এই খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সুমন্ত সেন নামে এক ব্যক্তি কে আটক করেপূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে ভরতপুর থানার পুলিশ। তবে ঠিক কি কারনে এই ব্যাবসায়ী খুন সে বিষয়ে রহস্যের দানা বাদছে!
No comments:
Post a Comment