শান্তিপুরে মা ক্যান্টিনের শুভ উদ্বোধনে করলেন রাজ্যের কারা মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস

 





মলয় দে নদিয়া :-  বর্তমান করোনা পরিস্থিতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয়কর্মী বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের এ কঠিন পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে থাকার কথা বলেছেন বারংবার। সেই মতনই বিভিন্ন এলাকায় কর্মহীন মানুষের খাওয়ার উদ্দেশ্যে গড়ে উঠেছিল মা ক্যান্টিন। এতদিন যাবৎ তারা নিজেরাই ব্যবস্থা করতো এই আহারের, কিন্তু আজ থেকে এ ধরনের বিভিন্ন ব্যবস্থাকে সরকারি মান্যতা দিতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রী। আর তারই ভার্চুয়াল উদ্বোধন হলো রাজ্যের বিভিন্ন মা ক্যান্টিনের।

 নদীয়ার শান্তিপুরের ডাকঘর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় শান্তিপুর শহর  তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে শুরু হচ্ছে মা ক্যান্টিন যেখান থেকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে খাবার বিতরণ করা হবে সাধারণ মানুষকে। কুপন বিলির মাধ্যমে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি পরিচালনা করা হবে।  আজকের এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন  রাজ্যের কারা মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস, ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক প্রণয় মুখোপাধ্যায় ,  ব্লক মেডিক্যাল অফিসার অফ হেলথ পূজা মৈত্র ,  নদীয়া জেলা সভাধিপতি রিক্তা কুন্ডু ও প্রাক্তন সভাপতি বাণী কুমার রায় , মা ক্যান্টিন কমিটির আহবায়ক সুব্রত ঘোষ , শান্তিপুর পৌরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলার সহ জেলার আরো বিশিষ্ট তৃণমূল নেতৃবৃন্দ। শান্তিপুরের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও এই মানবিক কর্মসূচিতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে জানা গেল আজ। আজকের এই বিশেষ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল  শান্তিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সুমন দাস কে । উপস্থিত ছিলেন শান্তিপুরের ব্যবসায়ী সমিতির কর্তাব্যক্তিরাও । প্রয়াতঃ অজয় দের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান এর মধ্যে দিয়ে আজকের এই অনুষ্ঠান এর শুভ সূচনা হয়। শান্তিপুরের সামাজিক সংগঠন করোনা প্রতিরোধ মঞ্চের সহযোগিতায় মা ক্যান্টিন মঞ্চের চারিদিকে ,  বসার আসন স্যানিটাইজার করা হয়। পুষ্পস্তবক দিয়ে নেতা-নেত্রীদের বরণ করে নেওয়া হয়। মাননীয় কারা মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস তার বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে আজকের এই মা ক্যান্টিন কর্মসূচির গুরুত্ব ও প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরেন। আজকে এই মা ক্যান্টিন এর মধ্যে দিয়ে 700 জনকে খাবার বিতরণ করা হবে। শান্তিপুরে অনুষ্ঠিত প্রথম মা ক্যান্টিনের উদ্বোধোনে সাধারণ মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে ভিড়ের চাপ সামলাতে স্বাস্থ্যবিধি বিষয়ে আরো একটু সচেতন হওয়ার প্রয়োজন ছিল বলেই মনে করেন সাধারণ মানুষ।


No comments:

Post a Comment