কলকাতা পুরসভার অন্দরে দিনেদুপুরে পুকুর চুরি, তৎপর পুর প্রশাসন

 


নিজস্ব সংবাদদাতা; (কলকাতা) : ' দিনেদুপুরে পুকুর চুরি ' এই টনা এবার সত্যি হল খোদ কলকাতা শহরের বেলেঘাটায়, কলকাতা পুরসভার অন্তর্ভুক্ত এলাকায় প্রায় ১৪ কাটা  জমির ওপর রয়েছে পুকুর, আর সেই পুকুর বুজিয়ে রমরমিয়ে চলছে প্রমোটিংয়ের কাজ! 

এই খবর সংবাদ মাধ্যমের চোখে পড়তেই হইচই পড়ে এলাকায়, স্থানীয় সূত্রে খবর অভিযুক্ত প্রমোটারের নাম রাজু নস্কর। অভিযোগ, বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই পুকুর ভরাটের কাজ চলছে এলাকায়। পরিত্যক্ত এই পুকুরের একদিকে কচুরিপানা জমেছে, অপরদিকে আগাছায় ভরে গেছে বেশ কিছু অংশ। সেই সুযোগেই চলছে বেআইনিভাবে পুকুর ভরাটের কাজ। এই খবর পাওয়ার পরেই খোদ কলকাতা পুরসভা স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে ,পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমের নির্দেশে বলে  জানাযায়। 

যে পুকুর ভরাট করার অভিযোগ উঠেছে তার আশেপাশে পাঁচিল দিয়ে ঘেরা । আর তার আড়ালেই  ধীরে ধীরে  পুকুর ভরাটের কাজ চলছে আর সেই ছবিই প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসে পুর প্রশাসন। স্থানীয় মানুষের আশঙ্কা,পুকুরের আশেপাশে বেশ কিছু গাছ রয়েছে, কিন্তু সেগুলিও সময়ের সাথে সাথে  কেটে ফেলা হবে।

 প্রসঙ্গত এর আগেও দক্ষিণ কলকাতার সাউথসিটি এলাকায় একাধিকবার পুকুর ভরাটের অভিযোগ এসেছে কলকাতা পুরসভার কাছে, সে সময়ে নিজে এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন পুরসভার মেয়র  ফিরহাদ হাকিম।

সাউথ সিটির পর বেলেঘাটা বারবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি কেন হচ্ছে সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলছেন পুরো এলাকার মানুষ। তবে বেলেঘাটায় কুকুর ভরাট করার  ব্যাপারে তৎপরতা দেখিয়ে বেলেঘাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে পুরো প্রশাসন।

বারবার এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে  সেদিকে নজর দিচ্ছে পুর প্রশাসন। এর আগেও একাধিকবার পুকুর ভরাটের অভিযোগ এসেছে কলকাতা পুরসভার। সেই সময় পুরো প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমের কড়া নির্দেশ  মত  জলাভূমি সংরক্ষণ আইনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। 

সেই সময় তিনি জানান, শহরের প্রান্তে এই ধরনের সমস্যা রয়েছে। তাই নতুন করে যে এলাকা গুলি কলকাতা পৌর নিগমের আওতায় এসেছে সেইসব এলাকায় পুকুরের সংখ্যা কত তা জানতে উদ্যোগী হয়েছিল পুরসভা। তারপরেও আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কলকাতা শহর জুড়ে অবৈধভাবে পুকুর ভরাট করে রমজান নিয়ে চলতে থাকা প্রোমোটারি কারবারের ইতি পড়েনি, বেলেঘাটা এই ঘটনা আরো একবার প্রশাসনের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।

ছবি সৌজন্যে: ইন্টারনেট

No comments:

Post a Comment