প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় হাই কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ মানিক ভট্টাচার্য, দায়ের করলেন স্পেশাল লিভ পিটিশন

নিউজ কলরব ডেস্ক ঃ প্রাথমিকের মামলায় এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন অপসারিত পর্ষদ সভাপতি ও পলাশিপাড়ার বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য,বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ মানিক ভট্টাচার্যের।  সুপ্রিম কোর্টের দায়ের করলেন স্পেশাল লিভ পিটিশন (এস এল পি)। গত ২ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দেওয়া নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে গত ১৫  সেপ্টম্বর  সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হন মানিক ভট্টাচার্য। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ সব পক্ষকে নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের, আগামী ২৭  সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে সুপ্রিম কোর্ট সুত্রে খবর।

প্রাথমিকের স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের তাকে একাধিকবার জেরা করেছে ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টররেট) । সম্প্রতি আদালতে নিয়োগ দুর্নীতির চার্জশিট পেশ করেছ ইডি সেই চার্জশিটে  একাধিক বার নাম রয়েছে অপসারিত পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের।

গত ২ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ প্রাথমিক দুর্নীতি মামলায় যে নির্দেশ দিয়েছিল সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রাক্তন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। সেখানে তিনি স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করেছেন, যেটা সুপ্রিম কোর্টের ক্ষেত্রে যে কোন মামলায় প্রাথমিক পর্যায়ের নিয়ম। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর এই মামলার শুনানি হবে । 

প্রসঙ্গগত কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্যকে তৎকালীন পর্ষদ সভাপতি পদ থেকে অপসারিত করার। আদালতের নির্দেশে বলা হয়েছিল মানিক ভট্টাচার্য ও তার পরিবারের সম্পত্তির হিসেবের হলফনামা  কলকাতা হাইকোর্টকে দাখিল করতে হবে। মূলত এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মানিক ভট্টাচার্য ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।

 প্রাথমিক নিয়োগের দুর্নীতি মামলায় মানিক ভট্টাচার্য সহ যে সমস্ত চাকরিপ্রার্থী, ২৬৯ জন বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল তারা যেমন ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিলেন তার সঙ্গে মানিক ভট্টাচার্য, তিনিও কলকাতা হাইকোর্টের  বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন গত ২রা সেপ্টেম্বর। সেখানে যে নির্দেশ দেওয়া হয় তাতে বিড়ম্বনা কমেনি মানিক ভট্টাচার্যের। ডিভিশন বেঞ্চের তরফ থেকে সেখানে সিঙ্গেল বেঞ্চের প্রত্যেকটি নির্দেশকে কার্যত মান্যতা দেওয়া হয়, কোন নির্দেশই খারিজ করা হয়নি।


মানিক ভট্টাচার্য আদালতের সিঙ্গেল বেঞ্চে এবং ডিভিশন বেঞ্চে একই আবেদন করেন। কিন্তু দুই জায়গাতেই তার আবেদন খারিজ হয়। এই  নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন মানিক ভট্টাচার্য। এবিষয়ে শুক্রবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সংবাদমাধ্যমকে জানান, "উনি পিটিশন করেছেন উনার সেই অধিকার আছে ভারতবর্ষের বিচার ব্যবস্থার মধ্যে, কিন্তু আমার মনে হয় যে পরিমাণ বিপুল দুর্নীতি হয়েছে সেই তথ্য প্রমাণ যদি ঠিকমতো মহামান্য উচ্চ আদালতের সামনে তুলে ধরা হয় তাতে উনি রেহাই পাবেন বলে মনে হয় না"।




No comments:

Post a Comment